Government Logo Image

বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা (বামিস)

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ

Krishi Somporan Ministry Logo
  • হোম
  • প্রশিক্ষণ / সভা / সেমিনার / কর্মশালা
    • প্রশিক্ষণ
    • সভা
    • সেমিনার
    • কর্মশালা
      • আন্তর্জাতিক কর্মশালা
      • জাতীয় কর্মশালা
  • সংবাদ ও প্রকাশনা
    • প্রকল্পের প্রকাশনা
    • বিশ্ব ব্যাংক দলিল
    • প্রেজেন্টেশন
      • কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ
      • SAAO প্রশিক্ষণ
      • কৃষক প্রশিক্ষণ
      • রোভিং সেমিনার
      • আঞ্চলিক কর্মশালা
      • জাতীয় কর্মশালা
    • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
      • Facebook
      • Youtube
    • ভিডিও
    • প্রকল্পের সংবাদ
      • প্রিন্ট মিডিয়া
      • ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া
    • প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা
    • অন্যান্য
  • ভূ-উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ
    • বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ
    • স্যাটেলাইট ভিত্তিক সেচ পরামর্শ-আইআরএএস
    • ক্রপ ক্লাসিফিকেশন টুল
  • যোগাযোগ
  • গ্যালারি
বামিস পোর্টাল EN
  • হোম
  • English
  • আমাদের সম্পর্কে
    পটভূমি বামিস পোর্টাল সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • পত্র, বরাদ্দ এবং নির্দেশনা
    অঞ্চল (সকল) - আঞ্চলিক কর্মশালা জেলা (সকল) - এসএএও প্রশিক্ষণ, রোভিং সেমিনার ও কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক কমিটির সভা উপজেলা (সকল) - রোভিং সেমিনার ও কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক কমিটির সভা উপজেলা (২৫৪ টি) - কৃষক প্রশিক্ষণ
  • সংবাদ ও প্রকাশনা
    প্রকল্পের প্রকাশনা বিশ্ব ব্যাংক দলিল প্রেজেন্টেশন
    কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ SAAO প্রশিক্ষণ কৃষক প্রশিক্ষণ রোভিং সেমিনার আঞ্চলিক কর্মশালা জাতীয় কর্মশালা
    ভিডিও প্রকল্পের সংবাদ প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা অন্যান্য
  • ভূ-উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ
    বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ভিত্তিক সেচ পরামর্শ-আইআরএএস ক্রপ ক্লাসিফিকেশন টুল
  • গ্যালারি

রসুন ( মসলা জাতীয় ফসল )

এক নজরে রসুন চাষ

 

উন্নত জাতঃ বারি রসুন -১, বারি রসুন-২ এবং বারি রসুন-৩, বারি রসুন -৪।

পুষ্টিগুনঃ রসুনের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। নিয়মিত রসুন খেলে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এর  বিরূদ্ধে কাজ করে।

বপনের সময়ঃ রবি মৌসুমে মধ্য  অক্টোবর-নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ  উপযুক্ত সময় ।

চাষপদ্ধতি: পানি জমে না  এরকম  দোআঁশ মাটিতে নালা তৈরি করে তাতে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয়। লাইনে রসুন রোপণের জন্য সাধারণত ৪ মিটার লম্বা ও ১.৫ মিটার প্রস্থের ব্লক তৈরি করা হয়। চার ইঞ্চি দূরত্বের লাইনে  ৩-৪ ইঞ্চি দূরে দূরে ১ (এক) ইঞ্চি গভীর নালায় রসুনের কোয়া লাগাতে হবে। লাগানোর সময় কোয়ার অগ্রভাগ উপরের দিকে রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

বীজের পরিমানঃ  জাত ভেদে শতক প্রতি ২-৩ কেজি রসুন।

সার ব্যবস্থাপনাঃ

সারের নাম

শতকপ্রতিসার

হেক্টর প্রতি সার

কম্পোস্ট

২০ কেজি

৫ টন

ইউরিয়া

৮০০ গ্রাম

২০০ কেজি

টিএসপি

১ কেজি

২৫০ কেজি

পটাশ

১.৫ কেজি

২৫০ কেজি

জিপসাম

৪০০ গ্রাম

১১০ কেজি

সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, বোরণ এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক পটাশ সার জমি তৈরির সময় মাটির সাথে প্রথমেই মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া ও পটাশ সার দুই কিস্তিতে সমান ভাগে রসুন বপনের ২৫ দিন এবং ৫০ দিন পর দিতে হবে। এছাড়া জমিতে ছাই প্রয়োগ করলে মাটি আলগা থাকে এবং ফলন বেশি হয়।

সেচঃ জমিতে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার মোটা  করে শুকনা কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। এক্ষেত্রে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। মালচ ছাড়া চাষ করলে জমির প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার পর জমি জো আসার পর অবশ্যই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। সেচ দেয়ার ৩০-৬০ মিনিট পর সেচ নালা খুলে দিতে হবে। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বেসেচ বন্ধ রাখতে হবে।

 

সেচঃ জমিতে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার মোটা  করে শুকনা কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। এক্ষেত্রে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। মালচ ছাড়া চাষ করলে জমির প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার পর জমি জো আসার পর অবশ্যই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। সেচ দেয়ার ৩০-৬০ মিনিট পর সেচ নালা খুলে দিতে হবে। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বেসেচ বন্ধ রাখতে হবে।

আগাছাঃ জমি  নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন । সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র  নিড়িয়ে আগাছা  বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।চারা অবস্থা থেকে রসুন  গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।

আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 পোকামাকড়ঃ

  • রসুনের পাতামোড়ানো পোকা এমামেক্টীন বেনজোয়েট জাতীয় কীটনাশক ( যেমন প্রোক্লেইম ১০ গ্রাম) অথবা সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন-রিপকর্ড ১০ তরল অথবা  সিমবুশ ১০ তরল  ২০ মিলিলিটার / ৪ মুখ)  প্রতি ১০ লিটার পানিতে  মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করতে হবে। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • থ্রিপস পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • ক্ষুদে মাকড়ের আক্রমণ হলে সালফার জাতীয় (কুমুলাস ডিএফ বা রনোভিট ৮০ ডব্লিউজি বা থিওভিট ৮০ ডব্লিউজি বা সালফোলাক ৮০ ডব্লিউজি, ম্যাকসালফার ৮০ ডব্লিউজি বা সালফেটক্স ৮০ ডব্লিউজি) প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

রোগবালাইঃ

  • রসুনের ডাউনি মিলডিউ রোগ মেনকোজেব+মেটালোক্সিল জাতীয় ছত্রাকনাশক (রিডোমিল ঘোল্ড ২০ গ্রাম) অথবা আইপ্রোডিয়ন জাতীয় ছত্রাকনাশক (রোভরাল ২০ গ্রাম)১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করুন। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রসুনের আগা মরা রোগ দমনের মেনকোজেব+মেটালোক্সিল জাতীয় ছত্রাকনাশক (রিডোমিল ঘোল্ড ২০ গ্রাম) অথবা আইপ্রোডিয়ন জাতীয় ছত্রাকনাশক (রোভরাল ২০ গ্রাম )১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করুন। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রসুনের পার্পল ব্লচ রোগ দমনের জন্য কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন-এইমকোজিম ২০ গ্রাম)অথবা মেনকোজেব+ মেটালোক্সিল জাতীয় ছত্রাকনাশক (রিডোমিল গোল্ড ২০গ্রাম) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে  ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রসুনের লাল মরিচা রোগ দমনের জন্য  প্রোপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন টিল্ট ৫ মিলি/ ১ মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে  ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতাঃ  বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।

ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ২০-৪০ কেজি।

সংরক্ষনঃ মাটি ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। এরপর ছায়ায় ৩-৪ দিন শুকিয়ে নিন।  রোদে শুকালে রসুন নরম হয়ে যেতে পারে। তারপর কান্ড থেকে রসুন  কেটে গুদামজাত করা হয়। শুকনো বীজ রসুন আলো বাতাস চলাচলযুক্ত ঘরের মাচায় বেনি করে ঝুলিয়ে রাখুন। এতে রসুন ভাল থাকে।  বেশি  পরিমাণ হলে শুকিয়ে ঠান্ডা করে চটের নেটের বস্তায়  ভরে  রাখুন। এছাড়া বেশি পরিমাণে শুকনো রসুন হিমাগারে ০-২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় শতকরা ৬০-৭০% আর্দ্রতায়  বেশি দিন সংরক্ষণ করুন।

© ২0২৫ বামিস সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত